এনআইডি কার্ডে নিজ নামের বানান সংশোধন করতে প্রয়োজনীয় কি কি কাগজ পত্র দরকার? What to do to correct spelling of own name in NID card?
পরিচয় পত্রে নাম সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা
জাতীয় পরিচয় পত্রে নামের বানান ভুল থাকার কারণে অনেক মানুষ বিড়ম্বনায় পড়েন। সংশোধন করা না হলে সরকারি ও বেসরকারি অনেক কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। চুক্তিপত্র সই করা থেকে শুরু করে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা বা ভিসার জন্য আবেদন পর্যন্ত সব কিছুতেই পরিচয় পত্র সঠিক হওয়া প্রয়োজন। তাই ভুল সংশোধন অত্যন্ত জরুরি।
জাতীয় পরিচয় পত্রের নামের বানান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
নিজ নাম সংশোধন করার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সর্ব প্রথম দেখতে হবে আপনার নামের বানান এর ক্ষেত্রে ভুলের পরিমান টা কি? নির্বাচন অফিস নামের বানান সংশোধন ক্ষেত্রে তিনটি ধাপ অনুসরন করে
- একটি হলো আপনার নামের আংশিক ভুল যেমন কোন অক্ষর ছাড়া পড়া এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার
- সঠিক ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ ,
- এস.এস.সি বা সমমানের সার্টিফিকেট
- সংশোধন এর সুপারিশ সহ প্রত্যয়ন পত্র
দিয়ে অনলাইনে আবেদন করলে দ্রুত সংশোধন হয়ে আসার সম্ভাবনা বেশী। কিন্তু যাদের সার্টিফিকেট নাই তারা শুধু সঠিক ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ এবং একটি সংশোধন এর সুপারিশ সহ প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে আবেদন করলেই হবে।
*২য়টি হলো আপনার নামের আগে কিংবা পরে বংশগত পদবী বা মোঃ, মোছাঃ অথবা আলী, হোসেন, মন্ডল, চৌধুরী এগুলো সংশোধন এর ক্ষেত্রে
- এস.এস.সি বা সমমানের সার্টিফিকেট
- সঠিক ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ
- এবং একটি সংশোধন এর সুপারিশ সহ প্রত্যয়ন পত্র
- পিতা-মাতা- ভাই বোনের আইডি কার্ডের ফটোকপি ( প্রয়োজনে)
প্রয়োজনে আপনার পিতা-মাতা- ভাই বোনের আইডি কার্ডের ফটোকপিও লাগতে পারে যদি ভুলটি বংশগত পদবী হয় সেক্ষেত্রে।
৩. ৩য় ধাপ হলো আপনার নামের আমুল পরিবর্তন যেমন আপনার আসল নাম মোঃ আব্দুর রহিম কিন্তু ভোটার আইডি কার্ডে আপনার নামের বানান এসেছে মোঃ আঃ করিম এক্ষেত্রে মানুষ ই পরিবর্তন কারন আপতত দৃষ্টিতে আঃ রহিম একজন মানুষ এবং আঃ করিম আরেক জন মানুষ এই রকম পরিবর্তন বা সংশোধন এর জন্য সময় এবং প্রচুর কাগজপত্রের প্রয়োজন। আপনিই যে আঃ করিম ই আঃ রহিম এটা প্রমান করার জন্য যে সকল কাগজ পত্র লাগবে।
- এস.এস.সি বা সমমানের সার্টিফিকেট ( প্রয়োজনে আপনার সকল সার্টিফিকেট), পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ( সকল প্রামানিক দলীল সমুহ)
- সঠিক ডিজিটাল বাংলা ও ইংরেজি জন্ম সনদ
- জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট এর আদালত হতে কোর্ট এপিডেভিট এর কপি।
- সংশোধন এর সুপারিশ সহ প্রত্যয়ন পত্র
- ওয়ারিশান সনদ পত্র ( বিশেষ ক্ষেত্রে)
- বিবাহের কাবিন নামা
- জমির দলীল
- একই ব্যক্তির প্রত্যয়ন পত্র
বিঃদ্রঃ যদি নামের আমুল পরিবর্তন হয় তাহলে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করার পুর্বে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে পরামর্শ করে আপনার আবেদনটি কি কি কাগজ পত্র হলে সংশোধন হবে তার একটি নোট নিয়ে এসে সেগুলো সংগ্রহ করে অনলাইনে আবেদন করা উচিত।
আবেদন করার পর আপনার আবেদনটি সরেজমিনে তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট টি জমা হওয়ার পর আবেদন টি সংশোধন এর অনুমোদন দিবে তবে এক্ষেত্রে সময় একটু বেশী লাগে যার জন্য হতাশ হওয়া যাবেনা।
মৌলিক কাগজপত্র
১. জন্ম সনদ: আপনার জন্ম তারিখ ও নামের সঠিক প্রমাণ দিতে জন্ম সনদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২. শিক্ষা সনদ: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাপ্ত সনদ নামের সঠিকতা যাচাইয়ে সহায়তা করতে পারে।
৩. সংশোধন এর সুপারিশ সহ প্রত্যয়ন পত্র
৪. জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট এর আদালত হতে কোর্ট এপিডেভিট এর কপি।
৫. পিতা-মাতা- ভাই বোনের আইডি কার্ডের ফটোকপি
সম্ভাব্য সমস্যাগুলি এবং সমাধান
প্রক্রিয়া চলাকালীন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সেই সমস্যাগুলি ও তাদের সমাধান জানাটা জরুরি।
অবৈধ তথ্য প্রদানের ঝুঁকি
অবৈধ তথ্য প্রদান গুরুতর অপরাধ হতে পারে যা আপনার তথ্য বাতিলের কারণ হতে পারে। সতর্ক থাকার পরামর্শ রইলো।
সারসংক্ষেপ এবং পরামর্শ
নামের বানান সংশোধনের প্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ কিন্তু আগামীর জন্য তা অত্যন্ত জরুরি। সবসময় সঠিক তথ্য দিন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। পরিচয় পত্রের শুদ্ধতা সামাজিক ও পেশাগত জীবনে আপনার প্রতিষ্ঠা রাখতে সহায়ক হবে।
সোহাগ ইনফোটেক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url