২০২৪ সালে নতুন
ভোটার হতে
আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হন আর আপনার বয়স যদি ১৬ বছর হয় তাহলে আপনি এই ঠিকানায় গিয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধন করতে এখানে ক্লিক করুন অনলাইনে আবেদন করে আপনি প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র জমা দিলে ১৮ বছরের আগেই হাতে পাবেন NID Card।
ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করতে কি কি ডকুমেন্টস ও কাগজপত্র প্রয়োজন তা
নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে। বর্তমান নিয়ম অনুসারে ১৮
বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অনলাইনে New Voter Registration করা যায় এবং NID Card
ও হাতে পাবেন।
তবে ভোটার তালিকায় নাম আসবে ১৮ পূর্ণ হবার পর। অর্থাৎ আপনার বয়স যখনই ১৮ বছর হবে তখন ভোট দিতে পারবেন।
প্রাথমিক পর্যায় সরকারি ভাবেঃ
সরকার
প্রতি বছর বা ২ (দুই) বছর পরপর অথবা ০৩ ( তিন) বছর পর নতুন ভোটার করার
জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করে উপজেলা ভিত্তিক
ভোটার নিবন্ধন ফরম-২ পুরন তথ্য সংগ্রহ করে নতুন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম
পরিচালনা করে।
এই
কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এলাকা ভিত্তিক বা ওয়ার্ড ভিত্তিক তথ্য
সংগ্রহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে তথ্য সংগ্রহ
করে ফরম-২ পুরন করে নির্বাচন অফিসে জমা দেয় । নির্বাচন অফিস উক্ত এলাকায় বা
ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কার্যালয়ে ছবি তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট
তারিখ নির্ধারন করে মাইকিং করে অথবা লোকাল প্রতিনিধির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।
২য় পর্যায়ঃ আপনি নিজে যদি অনলাইনে আবেদন করে যে কোন সময় ভোটার হতে চান তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ
জন্ম নিবন্ধন সনদ,
এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে),
ঠিকানা প্রমাণের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি,
নাগরিক সনদ,
বাবা-মা এবং
বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি,
পাসপোর্ট,
ড্রাইভিং
লাইসেন্স,
টিআইএন (TIN) নম্বর (যদি থাকে)।
প্রত্যয়ন পত্র।
জন্ম নিবন্ধন সনদঃ
নতুন ভোটার এর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ আবশ্যক আপনি সরকারি ভাবে করেন আর নিজেই আবেদন করে করেন এক্ষেত্রে প্রতিটি নাগরিকের বাংলা ও ইংরেজী সনদ তথা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবেই। অতএব আপনি ভোটার হওয়ার প্রথম ধাপ হলো ডিজিটাল জন্ম সনদ সংগ্রহ করা।
এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদঃ
আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা এস এস সি বা সমমানের যে কোন সার্টিফিকেট থাকে তাহলে আপনি নতুন ভোটার হওয়ার সময় তা জমা দিতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনার মুল সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়ে যে কোন প্রথম শ্রেনী কর্মকর্তার নিকট হতে সার্টিফিকে এর এফোর সাইজের কাগজে ফটোকপি করে তা সত্যায়িত করতে হবে।
ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপিঃ -
ইউটিলিটি বিল বলতে আপনার বাড়ীর বিদুৎ বিলের কপি, বাড়ীর হোল্ডিং ট্যাক্স এর রশিদ অথবা চৌকিদারী ট্যাক্সের রশিদ জমা দিতে হবে। এবং কিছু ক্ষেত্রে আপনার পিতার নামের জমির দলিল এর প্রথম তিন পাতার ফটোকপিও চাইতে পারে।
পাসপোর্ট, ড্রাইভিং
লাইসেন্স, টিআইএন (TIN) নম্বর এগুলো আব্যশক না যদি থাকে তাহলে দিবেন তাহলে আপনার আইডি কার্ডের তথ্য গুলি সমৃদ্ধশালী হবে।
তবে যারা বিদেশে থাকার কারনে আইডি কার্ড করতে পারেনি তাদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বাধ্যতামুলক।
প্রত্যয়ন পত্রঃ
নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে যারা সময় মত ভোটার হতে পারেনি অথবা চাকুরী, লেখাপড়া করার জন্য এলাকার বাহিরে ছিলেন তাদের কে কি কারনে ভোটার হতে পারেন নি এই মর্মে চেয়ারমান্য/মেয়র এর কাছ থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র দিতে হবে।
অঙ্গীকারনামা-
নতুন NID Card আবেদন করার জন্য সবার অঙ্গীকারনামা লিখার প্রয়োজন হয় না।
যারা পূর্বে সুযোগ এবং বয়স হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য
আবেদন করেনি তারা নতুন ভোটার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে অঙ্গীকারনামা জমা
দিতে হয়।
যারা দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন এবং দেশে এসে নতুন আইডি কার্ডের জন্য আবেদন
করবে তাদের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা প্রযোজ্য। যারা বিভিন্ন সমস্যার কারণে
অনেক আগেই জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন করার জন্য উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও
আবেদন করেনি তারা এখন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য অবশ্যই অঙ্গীকারনামা জমা
দিতে হবে।
এই অঙ্গীকার নামে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে আবেদনকারী পূর্বে কখনো জাতীয়
পরিচয়পত্র নিবন্ধন করেনি যদি করে থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে
আইনগত ব্যবস্থা নিলে তার কোন আপত্তি থাকবে না।
সোহাগ ইনফোটেক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url